নতুন বাংলাদেশে ঐক্যবদ্ধতার আহ্বান: ড. মুহাম্মদ ইউনূস
- By Jamini Roy --
- 21 November, 2024
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস সশস্ত্র বাহিনী দিবস উপলক্ষ্যে বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) ঢাকার সেনানিবাসে এক অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন। এখানে তিনি বলেন, ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার বিপ্লবের মাধ্যমে আমরা এক নতুন বাংলাদেশের সূচনা করেছি, যেখানে আমাদের মূল দায়িত্ব হলো সকল মানুষকে এক বৃহত্তর পরিবারের বন্ধনে আবদ্ধ করা।
ড. ইউনূস বলেন, "পরিবারে মতভেদ থাকবে, বাগবিতণ্ডা হবে, কিন্তু আমরা কেউ কারও শত্রু হবো না, কাউকে তার মতের কারণে শত্রু মনে করবো না, কাউকে ধর্মের কারণে শত্রু মনে করবো না। আমরা সবাই সমান, আমরা সবাই এক পরিবারের সদস্য।" তাঁর মতে, বাংলাদেশকে এমনভাবে গড়ে তুলতে হবে যেখানে কোনো বৈষম্য থাকবে না এবং সবাই সমান মর্যাদা পাবে।
তিনি আরও বলেন, "মুক্তিযুদ্ধের সময় যেভাবে আমাদের দেশ স্বাধীন করার স্বপ্ন দেখেছিলেন মুক্তিযোদ্ধারা, সেই একই স্বপ্ন পূরণের জন্য আমরা প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। আমাদের লক্ষ্য হলো, জনগণকে সব ক্ষমতার উৎস হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করা এবং বাংলাদেশকে মানবিক ও কল্যাণকর রাষ্ট্র হিসেবে বিশ্বের কাছে সমাদৃত করা।"
বিশ্বের সকল দেশের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখার গুরুত্ব উল্লেখ করে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, "আমরা পারস্পরিক সম্মান, আস্থা, বিশ্বাস ও সহযোগিতার ভিত্তিতে পররাষ্ট্রনীতি গড়ে তুলবো এবং বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সঙ্গে শান্তি ও অর্থনৈতিক সুসংহতকরণে কাজ করবো।"
তরুণদের সৃজনশীলতা এবং দেশ গঠনে তাদের অবদান নিশ্চিত করার প্রয়োজনীয়তার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, "আমাদের তরুণদের সৃজনশীলতার বিকাশের জন্য একটি সহায়ক পরিবেশ সৃষ্টি করতে হবে, যাতে তারা মেধার ভিত্তিতে দেশের উন্নয়নেও অবদান রাখতে পারে।"
সশস্ত্র বাহিনী দিবসে, প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস সকালে শিখা অনির্বাণে গিয়ে মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। পরে সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী ও বিমান বাহিনীর প্রধানরা একত্রে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।
শেখার অনির্বাণে শ্রদ্ধা নিবেদনের পর, প্রধান উপদেষ্টা সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের প্রধানদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। এরপর তিনি বীর মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের উত্তরাধিকারীদের সংবর্ধনা প্রদান করেন। এই অনুষ্ঠানে মোট ১০১ জন মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের পরিবার সদস্যরা অংশগ্রহণ করেন।